শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
তিস্তা নদীর তীরে মশাল প্রজ্জ্বলন শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজের সহকারী অধ্যাপক নিহত তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জ্বলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু লালমনিরহাটে জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলন চলমান বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে লালমনিরহাটে প্রতিবাদ সমাবেশ র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ইজিবাইক জব্দ কালবেলা ৩য় পেরিয়ে ৪র্থ বর্ষে পদার্পণে আলোচনা সভা ও কেককাটা অনুষ্ঠিত মার্শাল আর্ট কন্যা সান্ত্বনার নেতৃত্বে ইটালিতে বাংলাদেশের বিশাল সফলতা: স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জসহ ৯টি পদক অর্জন লালমনিরহাটে জামায়াতের মানববন্ধন বিএসটিআই’র মোবাইল কোর্টে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা লালমনিরহাটে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি’র চেক হস্তান্তর
প্রতিবেশী পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করায় ঘর ছাড়া বিধবা নারী!

প্রতিবেশী পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করায় ঘর ছাড়া বিধবা নারী!

আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাটে প্রতিবেশী এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করে ঘর ছাড়া হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুল্লী বেওয়া (৭০) নামে এক বিধবা।

 

শনিবার (৫ জুন) দুপুরে জীবন ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেন ভুল্লী বেওয়ার ছেলে ভোলা মিয়া। বিধবা ভুল্লী বেওয়া লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটী ইউনিয়নের ঢাকনাই কুড়ারপাড় গ্রামের মৃত ছানে মামুদের স্ত্রী।

 

লালমনিরহাট সদর থানায় দায়ের করা মামলা ও জিডি সূত্রে জানা গেছে, স্বামীর রেখে যাওয়া আড়াই শতাংশ জমির উপর সরকারী ভাবে দেয়া আধাপাকা ঘরে বসবাস করেন বিধবা ভুল্লী বেওয়া। দুই ছেলে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে রাজধানী ঢাকায় রিক্সা চালান। সেখান থেকে ছেলেদের পাঠানো সামান্য টাকা আর সরকারী ভাবে পাওয়া বিধবা ভাতায় চলে তার সংসার। বাড়ির পাশে সরকারী কুড়ায় (বিল) হাঁস পালন করেন বৃদ্ধা। দুই বছর আগে সেই কুড়া জবর দখল করতে কুড়ায় বিষ দিয়ে হাঁস মেরে ফেলেন প্রতিবেশী আকবর আলীর ছেলে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে কর্মরত কনস্টবল আমিনুর রহমান গংরা। এ ঘটনায় ক্ষতিপুরন চেয়ে পুলিশ সদস্যসহ তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যা রহস্যজনক ভাবে নথিভুক্ত না হলেও কপাল পুড়ে যায় বিধবা ভুল্লী বেওয়ার। এ অভিযোগ দায়ের করায় ভুল্লী বেওয়ার পক্ষে স্বাক্ষী দেয়া স্বাক্ষী জুয়েল সরকারের ঘর বাড়ি ভাংচুর করা হয়। এতেই শেষ নয়, ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ সদস্য আমিনুর রহমান গত ১ জানুয়ারী ছুটি ছাড়ায় বাড়িতে এসে বিধবা ভুল্লী বেওয়ার সরকারী ঘরটি ভেঙে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ বিধবার। এ ঘটনায় বিধবা ঘটনাস্থলের ভিডিওসহ লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা (জিআর-১২৬/২১) দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ সদস্য আমিনুরকে প্রধান আসামী করা হয়। কিন্তু লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশের খাতায় এ আসামী আমিনুর রহমান পলাতক থাকলেও কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে তিনি কনস্টবল পদে কর্মরত রয়েছেন। আদালতে জামিন না নিয়ে বীরদর্পে পুলিশে চাকুরী করছেন প্রধান আসামী।

পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা এ মামলা দ্রুত তুলে নিতে ভুল্লী বেওয়া ও তার ছেলেদের বিভিন্ন ভাবে হুমকী দেয়া হচ্ছে। একা বসবাস করা বিধবাকে মেরে কুড়ায় (বিলে) মরদেহ ফেলে রাখার অব্যাহত হুমকীর ভয়ে রাতে অন্যের বাড়িতে আত্মগোপনে থাকছেন বিধবা ভুল্লী বেওয়া। মায়ের নিরাপত্তাহীনতার খবরে রিক্সা চালক ছেলে ভোলা মিয়া বাড়িতে এলে তাকেও মেরে ফেলার হুমকী দেয়া হয়। এ ঘটনায় মা ও নিজের নিরাপত্তা চেয়ে শনিবার (৫ জুন) লালমনিরহাট সদর থানায় জিডি (নং-২৫২) দায়ের করেন ভোলা মিয়া।

 

ভুল্লী বেওয়া সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের নামে মামলা দেয়ার পর থেকে বাড়িতে রাত কাটাতে পারি না। মামলা তুলে না নিলে আমাকে মেরে কুড়ায় লাশ লুকিয়ে রাখার হুমকী দিচ্ছে। আমাকে দেখতে আসা ছেলেকেও মেরে ফেলার হুমকী দিচ্ছে। গরীবের বিচার আল্লাহ ছাড়া কেউ করে না।

 

লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশই নয়, সরকারী চাকুরীজীবীর বিরুদ্ধে কোন মামলা হলে তা তার কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়। বিধবা ভুল্লী বেওয়ার মামলার বিষয়টি অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টবল আমিনুরের কর্মস্থলে পাঠিয়েছি। তারা আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। বিধবা ও তার ছেলেকে হুমকীর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone